নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে একের পর এক বহুতল ভবন গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে এক ধরনের কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এসব জমি প্রথমে টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ওইভাবেই রেখে দেওয়া হয় বেশ কিছুদিন। সুবিধামতো সময়ে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর সেই টিন খুলে দেওয়া হয়।
আবার ভবন নির্মাণে পৌরসভা থেকে নকশার অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে রেলওয়ের জমিতে অবৈধ বহুতল স্থাপনা নির্মাণে সহযোগিতা করছে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারী। ওই দপ্তরের কর্মকর্তারাও রয়েছেন নির্বিকার। অবৈধ দখল কার্যক্রম চলছে লাগামহীনভাবে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানায়, শহরের রেললাইনের পাশে ও শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের দুই পাশে রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে এসব বহুতল ভবন। প্রথমে টিন দিয়ে ঘিরে ঘর তোলার পর সেই টিন খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভবন নির্মাণে পৌরসভা থেকে নকশার অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম থাকলেও এক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। যেন এসব দেখার কেউ নেই। অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নির্বিকার থাকার সুযোগ নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে সহযোগিতা করছে রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারী। কোনো রকম বাধা ছাড়াই অনায়াশে এসব অপকর্ম চালানো হচ্ছে। রেলের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা বহুতল ভবনের মালিকরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তারা বলছেন, গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের কাগজপত্র তাদের রয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, জায়গা রেলওয়ের। সেখানে অবৈধভাবে বহুতল ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পৌরসভার নকশা অনুমোদনের প্রশ্নই আসে না। তার মতে, নকশাবিহীন ভবন জনজীবনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কারখানা) শরিফুল ইসলাম বলেন, দখল ও অবৈধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।