রং আর তুলির আঁচড়ে এখন রঙিন দেবী মহামায়া। রাঙানো হয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে। বাহারি ডিজাইন আর কৃত্রিম গহনায় আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে বিভিন্ন প্রতিমা। মূর্তিকে জীবন্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে রাঙামাটির মন্দিরে মন্দিরে শুরু হয়েছে দেবীবন্দনা। দেবীপক্ষের শুভসূচনা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্থানীয় রেশমি দাশ বলেন, ‘পাহাড়ে দুর্গাপূজার আমেজে মেতেছে প্রকৃতি। নানা রঙের ছড়াছড়িতে এবার মহামিলনের মধ্য দিয়ে পালিত হবে শারদীয় উৎসব।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, রাঙামাটির ১০ উপজেলায় এবার শারদীয় উৎসব হবে ৪৪ মণ্ডপে। প্রস্তুত করা হচ্ছে মণ্ডপগুলো।
মৃৎশিল্পী নয়ন সাহা বলেন, ‘প্রতিমাগুলোয় রঙের কাজ প্রায় শেষ। এখন চোখ আঁকা হচ্ছে। চোখের রঙের কাজ শেষ হলে পূজার জন্য প্রস্তুত করা হবে। গেল বছর রাঙামাটিতে ৪০টি প্রতিমা আমরা তৈরি করেছি।
এবার গড়েছি মাত্র ৩০টি। আমাদের আয়-উপার্জনও কমে গেছে।’
রাঙামাটি রক্ষা কালী মন্দিরের পুরোহিত রণধীর চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে জাতিগত কোনো সমস্যা নেই। সনাতনীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও দুর্গাপূজা পালন করে। বাঙালি মুসলিমরাও উৎসব দেখতে আসে। দুর্গাপূজায় ধর্মবর্ণ ভেদাভেদ থাকে না।’ শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদ্যাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। পূজাম পগুলোয় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর বিশেষ দল কাজ করবে। ম পে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পুলিশ।’