দাগনভূঞায় ছোট ফেনী নদী কেড়ে নিচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি। যে কোনো মুহূর্তে আরও ১৫টি বসতঘর বিলীনের পথে রয়েছে। আতঙ্কে দিনযাপন করছে পরিবারগুলো। এজন্য তারা দুষছেন অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ নির্মাণকে।
দাগনভূঞার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. রাহাত বলেন, যেভাবে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। মাতুভূঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুরের বাসিন্দা বিবি জোহরা বলেন, বসতঘরটি কোনোমতে সরাতে পেরেছেন। আরও ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এই রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে পরিবার নিয়ে কোথায় যাব কোথায় থাকব? ব্রিজটি নির্মাণের পরিকল্পনা করার সময় তাদের এভাবে ব্রিজ নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তারা আমার কথা শুনেনি। ব্রিজটির জন্য আমার সহায় সম্বল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ছোট ফেনী নদীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর ও মোমারিজপুরের সংযোগের জন্য দীর্ঘ সময় পর কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় কাজের জন্য ফাইলিং ও মাটি কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশ্রাফপুরের বাসিন্দারা। মোমারিজপুরের অংশেও কিছু ক্ষতি হয়েছে।
বাসিন্দা দিনমজুর মো. বেলাল জানান, এই ব্রিজটির কারণে আমরা বিপদগ্রস্ত। ব্রিজটি অন্য স্থানে করলে নদী এভাবে ভাঙতো না। একই গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ব্রিজ করার পর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ঘরবাড়ি ভাঙছে। এর আগে আমরা কখনো ভাঙন দেখিনি। এই ব্রিজের কাজের পর থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর আগেই আমরা বলেছিলাম বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের কথা শুনেনি।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হারিছ আহাম্মদ পেয়ার বলেন, এ ব্রিজটি করার সময়ই আমরা বলেছিলাম আরও দক্ষিণ দিকে করার জন্য কিন্তু তারা ওই পাশের একপক্ষের বাধার প্রেক্ষিতে উত্তর দিকে করেছে। যার জন্য এ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা। এটি নিয়ে যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ প্রশাসন গ্রহণ না করে তাহলে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে আমাদের।