ফসলের মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে দিনাজপুরে। ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের চোখেমুখে এখন হাসির ঝিলিক। কৃষক বাড়তি লাভের আশায় চাষ করেন স্বল্পমেয়াদি এই আগাম জাতের আমন ধান। এ ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসেবে বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় বাড়তি আয় হচ্ছে কৃষকদের। আবার আগাম জাতের ধান কাটামাড়াই শেষে এই জমিতে আগাম আলু রোপণ করবে কৃষক। জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান কৃষকরা। আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উফশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির রাজারামপুর, গোপালপুর, জাফরপুর, পলিশিবনগর, শমসেরনগর, কয়রাকোল এলাকায় এ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। ফুলবাড়ীর শিবনগরে দেখা গেছে, কেউ ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাঠে মাঠে কিষান-কিষানিদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার সময় নেই। ধানের পাশাপাশি গো-খাদ্যের জন্য কাঁচা খড়ের ভালো ব্যবসা চলছে। চাহিদা থাকায় মাঠে মাঠে ধানের কাঁচা খড় কেনার জন্য মৌসুমি খড় ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ধান কাটা-মাড়াই শেষে তারা খড় কিনে বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছেন। কৃষক খড় বিক্রি করে কিছুটা চাষের খরচ তুলছেন। বাজারে ধানের দামের সঙ্গে খড়ের উচ্চমূল্য পেয়ে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক। এ বাড়তি আয়ে আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষে খরচ মেটাবেন তারা। কৃষক ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাজারে দামও পেয়েছেন ভালো।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আগাম আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে আগাম আলু রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে।