মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রিপন দাস দুই মাসের বেশি সময় ধরে লাপাত্তা রয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানও পরিষদে আসছেন না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিনি কোথায় আছেন কারও
জানা নেই। চেয়ারম্যান লাপাত্তা থাকায় শত শত লোক দীর্ঘদিন পরিষদ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ কায়েম সনদ ও মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণসহ বেশকিছু জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানান পরিষদের সচিব ও কয়েকজন মেম্বার। পরিষদ সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। প্যানেল চেয়ারম্যান সাধন চক্রবর্তী বলেন, চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় পরিষদের কার্যক্রম স্থবির প্রায়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বদরুদ্দোজা বলেন, কিছুদিন আগে এ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সব চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছেন। কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।