ফরিদপুরে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে সড়ক সংস্কারে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। দুই মাস ধরে জেলার সালথা উপজেলার যদনন্দি ইউনিয়নের কুমারকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এসব নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন প্রভাবশালী ঠিকাদার। ফলে সেখানে কোমলমতি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না। এগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
জানা গেছে, উপজেলার চি বর্দী থেকে কালীনগর বাজার পর্যন্ত ১১.৮০০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারে কাজ চলছে। ওই কাজ করছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফ। তার লোকজন বিদ্যালয়ের ওই মাঠটি দখল করে নির্মাণসামগ্রী রেখেছে। স্কুল ভবনের পাশেই রাখা হয়েছে ভারী ভারী যন্ত্র। শিক্ষকরা জানান, খোয়া-বালু মিশ্রণের সময় ওইসব যন্ত্রের বিকট শব্দে আর ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আশপাশের বাসিন্দা। অন্যদিকে ওই মাঠেই বিটুমিন গলাতে ও পাথর-বালু মিশ্রণের জন্য প্লান্ট মেশিনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই মাঠে বিটুমিন গলানো হলে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে বিদ্যালয় এলাকা। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাই মুসকিল হয়ে পড়বে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, দুই মাস ধরে আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি দখল করে খোয়া-বালু ও বড় বড় যন্ত্র রেখেছেন ঠিকাদারের লোকজন। এমনকি স্কুল ভবনের বারান্দায় পর্যন্ত তারা মাঝে মাঝে মালামাল রাখছেন। ফলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও স্বাভাবিক চলাফেলা করতে তো পারছে না। মাঠের এমন অবস্থা হওয়ায় অনেক শিশু শিক্ষার্থী ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঠিকাদারের ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মাঠটা পুরোপুরি বিদ্যালয়ের না। মাঠের কিছু অংশ স্থানীয়দের। তাই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মালামাল রাখা হয়েছে। সড়ক সংস্কার কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা উপপ্রকৌশলী কাইয়ুম হোসেন বলেন, ঠিকাদার কোথায় মালামাল রাখবে এটা তার ব্যাপার। আমরা কাজ বুঝে পেলেই হলো। সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিদ্যালয় মাঠ দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে ওই মাঠ থেকে মালামাল অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।