চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ বেড়েছে শিশু রোগী। এদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-সেবিকারা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমন হচ্ছে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে এখানে ৪ শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া বহিঃবিভাগ এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারেও প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিলঠাঁই নেই। ওয়ার্ডের মেঝে ছাড়িয়ে বারান্দায়ও জায়গা মিলছে না রোগীর। অনেকে বাধ্য হয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল সড়কের মতিন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আবদুল মতিন জোয়ার্দ্দার জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে বাড়তি রোগীর চাপ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ শিশু রোগী বাড়ায় ঠান্ডাজনিত ও নিউমোনিয়া রোগের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। চাপ সামাল দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। অবস্থা এমন হয়েছে গুরুতর রোগী ছাড়া ভর্তি রাখা যাচ্ছে না। যেসব শিশুর সমস্যা তুলনামূলক কম তাদের বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে গেছে। এ অবস্থায় অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।