প্রান্তিক মানুষের পুষ্টির আধার হিসেবে বিবেচিত অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হয়েছে ব্যতিক্রমী ‘খোটা শাকের মেলা’। গতকাল পশ্চিম জেলেখালী গ্রামে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় গতকাল এ মেলার আয়োজন করা হয়। খোটা শাকের মেলায় ঝোপঝাড়, ডোবা-নালা ও খাল-বিলে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠা থানকুনি, কলমি, হেলাঞ্চ, গাদোমণি, সেঞ্চি, বউনুটে, বুড়িপান, আমরুল, কাটানুটে, ঘুমশাক, নিশিন্দা, বিশার্লাকরনী, মণিরাজ, ধুতরাসহ দেড় শতাধিক উদ্ভিদ প্রদর্শন করেন নারীরা। তারা প্রদর্শিত শাকের পুষ্টিগুণ, ব্যবহার, প্রাপ্তির মৌসুম, রান্নার কৌশল ও ঔষধি গুণাগুণ তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, প্রকৃতিতে কুড়িয়ে পাওয়া উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে যেমন প্রচুর পুষ্টি রয়েছে, তেমনি রয়েছে ঔষধি গুণ। একই সঙ্গে এগুলো বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।