আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় গিল্ডেন অ্যাক্টিভওয়্যার বাংলাদেশ লিমিটেডের (গ্যাব) শাহরিয়ার গার্মেন্টের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। শ্রমিক সালমান বলেন, কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম এ কারখানার সব শ্রমিক। পরে মালিকপক্ষ সব দাবি মেনে নিলে কাজে যোগ দেই। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের অঙ্গীকার পূরণ করেনি। প্রথম দিকে কারখানার কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইজুল ইসলামকে অপসারণ করা হলেও পরে কর্তৃপক্ষ আবার তাকে কারখানায় যোগদান করান। তাকে আবারও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। নারী শ্রমিক ফারজানা বলেন আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, কারখানার কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইজুল ইসলামের অপসারণ ও টিফিন বিল বৃদ্ধি করে বেতনের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এসব দাবি মেনে নিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ আবারও তাইজুল ইসলামকে যোগদান করিয়েছেন। এ ছাড়া টিফিন বিলও বেতনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়নি। যে কারণে শ্রমিকরা আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও পরিস্থিতির তেমন হেরফের হচ্ছে না। কোথাও কোথাও ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা দাবি করায় নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। কারখানা পরিস্থিতি অনেক ভালো। শিল্প মালিকদের অভিযোগ, আর্মড পুলিশ, র্যাব-বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সহায়তা পেয়েও পুলিশ আগের মতো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে না। তবে শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, বল প্রয়োগ করে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া মোকাবিলার কৌশল আগেও ফল দেয়নি, এবারও দেবে না। বরং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে। মালিক-শ্রমিকদের আন্তসম্পর্ক বৃদ্ধি ও পরস্পরের সমঝোতার মাধ্যমেই এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। প্রায় ৮ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এতে প্রায় ১০ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ৮ ঘণ্টা পর বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্পপুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের যৌথ টহল চলছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, র্যাব, পুলিশের রায়ট কার ও জলকামান।