২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:৩১

'জজ মিয়া নাটক আর দেখতে চাই না'

ফেনী প্রতিনিধি:

'জজ মিয়া নাটক আর দেখতে চাই না'

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, অতীতে ব্লগারদের যারা হত্যা করেছে তাদের যদি বিচারের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে আবারও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে কাউকে খুন হতে হতো না। একটির পর একটি অঘটন ঘটার পরও যখন অপরাধীদের ধরা বা চিহ্নিত করা হচ্ছে না, তখন জনগনের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেই এমন কোন দুষ্ট চক্র লুকিয়ে আছে কিনা।

সোমবার দুপুরে ফেনী  জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তুলসী রানি দাস তুনির চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে এসে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ব্যাপারে আমরা জানতে চেষ্টা করছি। ইকবাল নামের একজন তার পেটে লাথি মেরেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন ভিকটিম। ভিকটিমের বক্তব্য অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। কতটুকু তিনি দায়ী তা বিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের শরনাপন্ন করতে হবে। যখন কোন অপরাধীকে ধরা হবে তখন যেন অপরাধীকে ধরার নামে নিরীহ জনগনকে ধরা না হয়।

অতীতে যেমন অপরাধীদের শনাক্তের নামে জজ মিয়া কাহিনী বানানো হয়েছে সে রকম কোন জজ মিয়া কাহিনীর সাথে আমরা আর পরিচিত হতে চাই না। যারা সত্যিকার অর্থে অপরাধী শুধু তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা জানি সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ রাখেননি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে যাবে সে ব্যাপারে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।  এতদ্বসত্বেও ফেনীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে এখানে রাষ্ট্রের কোন মদদ নেই, সরকারের কোন মদদ নেই কিন্তু কিছু দুষ্ট চক্র এই কাজটি করছে এবং ক্ষমতার সাথে তাদের একধরনের যোগাযোগ আছে বলে আমরা গণ-মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। একটি কথা বেশ স্পষ্টভাবে বলা দরকার যে, অপরাধীর কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। যদি অপরাধি কোন রাজনৈতিক দল করেও থাকে তবে অপরাধ করার পর তার রাজনৈতিক পরিচয়টি আর অক্ষুন্ন থাকে না। যারা এই অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা এই বাস্তবতা দেখতে চাই। এসময় ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও  সিভিল সার্জন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, বুধবার এশার নামাজের পর ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে মাথিয়ারায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে তুলসি রানী দাস তুনি (২০) নামে এক প্রসূতির আঘাত পায়। এতে তার মৃত সন্তান প্রসব হয়। বর্তমানে তিনি ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ও সন্দেহে পুলিশ এই পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বিডি-প্রতিদিন/০২ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর