প্রতিনিয়ত থানায় অভিযোগ আসে যুবকদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী, কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করার। কিন্তু চাঁদপুর মডেল থানায় কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে অ্যাডাম টিজিং এর অভিযোগে ডায়েরী করায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। (মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী নং- ১৩১৯)

অভিযোগে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও গ্রামের মফিজ মিজির মেয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী সুমি আক্তার (২০) দীর্ঘদিন থেকে একই এলাকার মোঃ হাবিব তপাদারের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২) কে মোবাইলে ও এসএমএসের মাধ্যমে উত্যক্ত করে আসছে। জাহিদুল ইসলাম ও সুমি আক্তার চাঁদপুর সরকারি কলেজে একই সাথে এইচএসসি’তে পড়াশুনা করতো এবং তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।’

এতে ক্ষান্ত হয়নি সুমি। গত ১০ নভেম্বর সুমি জাহিদুলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জাহিদুল তা প্রত্যাখ্যান করলে ওই দিনেই সে তাদের ঘরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ফাঁস দেয়। তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং সেখানে দু’দিন চিকিৎসা নিয়ে ৪-৫ দিন পর সুমি পুনরায় জাহিদুলকে আবার ফোন করে বলে, তার সাথে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে দেখা করার জন্য।’

জাহেদ জানায়, 'প্রতিনিয়ত সে বলে দেখা না করলে আমাদের ঘরের আঙ্গিনায় এসে আত্মহত্যা করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাবে। আমি নিরুপায় হয়ে ২৫ নভেম্বর দেখা করতে আসলে সুমি আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়।'

জাহিদ আরো জানায়, ‘আমি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সুমি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ফুফাতো ভাই শামীমকে ফোন করিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে ইভটিজিংয়ের দায়ে আমাকে গ্রেফতার করায়। পরে আমার পরিবারের লোকজন পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানালে, উভয়পক্ষকে সতর্ক করে আমাকে ছেড়ে দেয়।’

বিষয়টি অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তার স্বার্থে গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুর মডেল থানায় একাটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।

জাহিদুলের বাবা হাবিব তপাদার জানায়, ‘আমার ছেলে বর্তমানে ঢাকা তেজগাঁও ট্রেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করে। এ মেয়ের কারণে ছেলের পড়ালেখায় চরম বেঘাত ঘটছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন