বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে বর-কনের বাবা ও ঘটকের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টায় দিনাজপুরের খানসামাউপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের শুশুলি গ্রামের রাজকুমার মাষ্টারপাড়ায়।
বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৪নং ধারা অনুযায়ী বর জগেশ্বর রায়কে ১ (এক) মাসের এবং একই আইনের ৫নং ধারা অনুযায়ী মেয়ের বাবা দিনবন্ধু রায়কে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে বাল্য বিয়ে সংগঠিত করার অপরাধে ঘটক পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের মল্লিকাদহ গ্রামের মৃত কাশিনাথ রায়ের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের শুশুলী গ্রামের রাজকুমার মাষ্টার পাড়ার দিনবন্ধু রায়ের কন্যা আলোকঝাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী (১৩) মনিকা রায় ও একই গ্রামের জগেশ্বর রায়ের পুত্র হরিদাশ রায় (২৮) এর সাথে গোপনে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল।
জানা যায়, ঘটনাটি জানতে পেরে ইউনিয়ন শিশু সুরক্ষা কমিটি ও এলাকার স্কুল শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সদস্যরা ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার পিতা মাতাকে বাল্যবিবাহের কুফল সর্ম্পকে অবগত করায়। এরপরে মেয়ের অভিভাবক ২৭ নভেম্বর শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পন্ন করছিল। এ খবর জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো: সাজেবুর রহমান ও থানা অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ সরকার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৪নং ধারা অনুযায়ী পাত্র জগেশ্বর রায়কে ১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ৫নং ধারা অনুযায়ী মেয়ের বাবা দিনবন্ধু রায়কে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। বাল্য বিয়ে সংগঠিত করার অপরাধে ঘটক কৃষ্ণ চন্দ্র রায়কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন
