বরিশাল জেলায় দুই দিনব্যাপী বাছাইতে ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি'র দুইজন, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন এবং চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন বাতিল হওয়া বিএনপির দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, বাকেরগঞ্জের প্রাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নে সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়রে কাজী নজরুল ইসলাম মিলন।
এছাড়া বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসানের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র চারজনের মধ্যে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের মারুফ হাসান ও গৌরনদীর জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।
বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আ. হালিম খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিন যাছাই-বাছাইয়ে হলফনামায় তথ্যে ভুল থাকা, ঋন খেলাপীসহ বিভিন্ন কারনে সাত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৩২জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে নয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৭৪ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চার হাজার ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দলীয় ভাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ২৩৬জন এবং স্বতন্ত্র ১৪৪জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাধারণ সদস্য পদে দুই হাজার ৮৪৩ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৯৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। পরদিন ৩ মার্চ বৈধ প্রার্থীদের মাঝে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহন।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ
