২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:৫৭

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি ফেরত দিলো ছাত্রলীগ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি ফেরত দিলো ছাত্রলীগ

রাঙামাটিতে পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পর ফেরত দিলো ছাত্রলীগ। আসামিরা হলেন- কলিম (২৬) ও এরশাদ (২৭)। তারা শহরের আলম ডর্ক এলাকার বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিনের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দহজনক কয়েক জনকে আসামি করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা করেন তিনি। তদন্তের পর শহরের আলম ডর্ক এলাকার সন্দেহভাজন দুই আসামি কলিম ও এরশাদকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাঁদের সঙ্গে থাকা আসিফ নামের আরও একজনকে আটক করা হয়। আটক ওই তিনজনকে নিয়ে থানায় যাওয়ার সময় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার নং(চট্ট মেট্রো-গ-১২০২২৯) পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করেন। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পা ও তাঁদের সহযোগীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে পুলিশ ও উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিয়তোষের সামনে পিকআপের থেকে তিন আসামিকে নামিয়ে নিয়ে চলে যান তাঁরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চিত্তরঞ্জন পাল, ওসি মুহম্মদ রশিদ।

এদিকে ক্ষমতাবলে আসামি নিয়ে গেলেও পরে পুলিশের চাপের মুখে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌর প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীনের মাধ্যমে পুলিশের হাতে আসামিদের তুলে দিতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ নেতারা।

এব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, সরকারি কাজে বাধাদান এবং গাড়ি থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া অনেক বড় অপরাধ। এ সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ রশীদ আসামি ফেরত দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

তবে পুলিশের গাড়ি থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন।


বিডি-প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর