টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দর্জি নিখিল জোয়াদ্দারকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতাসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আরতি রানি। আর ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে অন্য মামলাটি করেন গোপালপুর থানার এসআই মোকসেদুল আলম।
এর আগে, শনিবার দুপুরে গোপালপুরের ডুবাইল কালিবাড়ি বাজারে নিজের দোকান তিথি তীর্থ বস্ত্রালয় অ্যান্ড টেইলার্সের সামনে খুন হন ৫০ বছর বয়সী নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার।গোপালপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল জলিল জানান, ধর্ম অবমাননার এক মামলায় তিন মাস কারাগারে ছিলেন নিখিল। পরে স্থানীয় ‘মুরুব্বীদের অনুরোধে’ ছয় মাস আগে মামলা তুলে নেন বাদী জাতীয় একটি দৈনিকের গোপালপুর সংবাদদাতা আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিনুলকেও আটক করা হয়েছে।
এছাড়া রবিবার ভোরে আমিনুল ইসলাম, গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বাদশা ও ঝন্টু নামে এক বিএনপি কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান টাঙ্গাইলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ আসলাম খান।
এদিকে, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে সাইট ইন্টেলিজিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে খবর এসেছে। তবে ওসি আব্দুল জলিল বলছেন, নিখিল উগ্রপন্থিদের হাতেই খুন হয়েছেন কি-না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
বিডি-প্রতিদিন/০১ মে, ২০১৬/মাহবুব