নাটোরের বড়াইগ্রামে আড়াই বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড়াইগ্রাম পৌর শহরের মৌখাড়া এলাকায় নানা বাড়িতে অবস্থানকালে ওই শিশুটি প্রতিবেশী আবু জাফর মিয়ার ছেলে মির্জা আলী (১৬) দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ঐ দিন বিকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ধর্ষক মির্জা আলীকে পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর গ্রাম থেকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদরের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে তার শিশু কন্যাকে নিয়ে বড়াইগ্রামের মৌখাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দিন লম্পট মির্জা আলী তার ছোট বোনের সাথে খেলা করার কথা বলে ওই শিশু কন্যাটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
দুপুরে গোসল করানোর জন্য মির্জা আলীর বাড়িতে গিয়ে ঐ শিশুকে আনতে গেলে তার মা ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ দেখতে পান। এসময় জানালার ছিদ্র দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে মা চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর চিৎকার শুনে আশে-পাশের মানুষ ছুটে এলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তারদের পরামর্শে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, ধর্ষক মির্জা আলী বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল বারেক সরদারের ব্যক্তিগত সহকারী জাফর মিয়ার ছেলে হওয়ায় পৌর মেয়র শিশুটির চিকিৎসার সব খরচ বহন করছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় মির্জা আলীকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি শিশুটির ডাক্তারী রিপোর্ট সংগ্রহ ও তার চিকিৎসার জন্য সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলেও জানান।
বিডি-প্রতিদিন/০২ মে, ২০১৬/ হিমেল-০৬
