২ মে, ২০১৬ ২১:২৩

আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যা

পাবনা প্রতিনিধি:

আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্ত্রীকে হত্যা

‪পাবনার ঈশ্বরদীতে পাষাণ্ড স্বামীর দেয়া আগুনে মারা গেছে সালমা খাতুন (৩০) নামে ২ সন্তানের জননী।

সোমবার রাত ৮ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই গৃহবধূ।  

নিহত সালমা খাতুন (৩০) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর বাঘইল পূর্বপাড়ার নুর মোহাম্মদের মেয়ে ও দিয়ার বাঘইল গ্রামের সাহাবুলের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ী কমেলা খাতুনকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে পাকশীর বাঘইল পূর্বপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে সালমা খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে সাহাবুলের বিয়ে হয়। সে মাদকাসক্ত ছিল বলেও জানা গেছে। নিহত সালমা খাতুন ঈশ্বরদী ইপিজেডে এবা গ্রুপের কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিমনা হচ্ছিল না, তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা লাগতো বলে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান ওসি।

গত রবিবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে স্বামী সাহাবুল তার স্ত্রীকে কৌশলে বাড়ির পাশের রেল লাইনের উপর নিয়ে যায়। সেখানে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তার স্বামী। এ সময় তার শরীরে আগুন ধরে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮ টার দিকে মারা যায়।

নিহত সালমা খাতুনের চাচাতো ভাই সুমন প্রামানিক জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থার অবনতি হলে সকালে আমার বোনকে রাজশাহী নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮ টার দিকে মারা যায়। আমি মৃতদেহ নিয়ে রাতেই রওয়ানা হওয়ার জন্যে চেষ্টা করছি। আমার বোনের শরীরের প্রায় ৯০ ভাগই পুরে যায়। আমরা সাহাবুলের বিচার চাই।  

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় নিহতের চাচা আলম প্রামানিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক সাহাবুল পলাতক রয়েছে বলে জানান ওসি। তবে সাহাবুলের মা কমেলা খাতুনকে সোমবার দুপুরে আটক করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ০২ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর