ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহাদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামে শিক্ষকের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর ভগ্নিপতি মো. মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিত শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিক ওই ছাত্রীকে নিজ ভাড়া বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আহাদ আলী।বুধবার সকালে ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারি কমিশনার মুনিবুর রহমান ও সহকারি পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে বুধবার বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ক্লাসবর্জন ও বিক্ষোভ করে। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক গণধোলাইয়ের শিকার হন। পরে সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ভগ্নিপতি থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরো জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন
