আসামী পলাতক থাকায় নাটোরের নলডাঙ্গা থানার খাজুরা গ্রামের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী মরিয়ম খাতুন লাবনী হত্যা মামলার বিচার দুই বছরেও শুরু হয়নি। ২০১৪ সালে ৬ মে রাতে নিজ বাড়িতে লাবনীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্বরা।
এঘটনায় লাবনীর বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে পরদিন ৭ মে নলডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্বের নামে একটি এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্তভার ন্যস্ত হয় নলডাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক আবু তাহেরের উপর।
পরে ভূণলগাছা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে জিয়ারুল জিয়া ও বাঁশিলা গুচ্ছগ্রামের আমির হোসেনের ছেলে জামালকে আটক করে।
তদন্ত শেষে নলডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওয়াহেদ আলী আটক ৬ আসামীসহ ৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরমধ্যে লাবনীর ভগ্নিপতি নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার হরিশপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে বাবুকে পলাতক আসামী দেখানো হয়।
আসামী বাবু বর্তমানে নলডাঙ্গা থানার ভূণলগাছা গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে সাহিদা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানে থাকে। বাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য আদালত থেকে বারবার নির্দেশ দেয়া সত্বেও পুলিশ আসামী বাবুকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ওয়াহেদ আলী জানায় আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটর শাহাজান আলী জানান, আসামী বাবু গ্রেফতার না হওয়ায় দুই বছরেও এ হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়নি।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আসামীর অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ও লাবনীর বাবা আব্দুর রশিদ মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/৬ মে, ২০১৬/ হিমেল-১৫