৬ মে, ২০১৬ ২০:১৭

গ্রেফতার আতঙ্কে গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া গ্রাম পুরুষ শূন্য

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গ্রেফতার আতঙ্কে গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া গ্রাম পুরুষ শূন্য

গোপালগঞ্জের উরফি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মনির গাজী ও নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্কে ডুমদিয়া গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

গত সোমবার মনির গাজীর সমর্থক শিপন গাজী ও ইকবাল গাজীর সমর্থক বাবু গাজী একই ব্যাটারী চালিত ইজি বাইকে গোপালগঞ্জ থেকে ডুমদিয়া বাস স্ট্যান্ডে আসে। সেখানে আসার পর শিপন গাজী বাবু গাজীকে তার ভাড়া দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু বাবু গাজী শিপনের ভাড়া না দেয়ায় দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ওই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মনির গাজী নিজে শর্টগান ও দেশীয় অস্ত্রসহ দলীয় লোকজন নিয়ে ডুমদিয়ায় হামলা ভাংচুর চালাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় মনির গাজী তার শর্টগান দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য চার রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

এছাড়া কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ থেকে গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করে। সে সময় উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ সদস্য রবিউল ইসলাম (কং/৭৮৩) আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৭৫ জনের নামে ও অঞ্জাত ২০০/২৫০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের  করেছে।

এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষ ৫৭ জনকে আসামী করে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার কারণে গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামের পুরুষ লোকেরা গাঁ ঢ়াকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা আজ শুক্রবার জানান সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদিসহ মোট তিনটি মামলা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মনির গাজীর শর্টগান জব্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর