৫ জুন, ২০১৬ ১৭:৫০

নাটোরে খ্রিস্টান দোকানিকে হত্যার ঘটনায় ভাড়াটিয়া আটক

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে খ্রিস্টান দোকানিকে হত্যার ঘটনায় ভাড়াটিয়া আটক

নিহত সুনীল গমেজের স্বজনের আহাজারি, ইনসেটে সুনীল গমেজ।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া মা মারিয়া গীর্জার পশ্চিম পাশে রবিবার (৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সুনীল দানিয়েল গমেজ (৬০) নামে এক খ্রিস্টান মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সুনীল বনপাড়ার মৃত যোসেফ গমেজের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের বাড়ির ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজকে (৩০) আটক করেছে। সে জেলার লালপুর উপজেলার কদিমচিলান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

এদিকে, বিকেলে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা বিধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে খ্রিস্টান এসোসিয়েশন ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

ঘটনার পর পর র‌্যাব-৫ এর সিও মাহবুব আলম, নাটোরের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি, ইউএনও মো. রুহুল আমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সী শাহাবুদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বনপাড়া খ্রিস্টানপল্লীতে নিজ বাড়ির একটি কক্ষে সুনীল গমেজ মুদি ব্যবসা করতেন। রবিবার সকাল ৮টার দিকে ধর্মপল্লী থেকে প্রার্থনা শেষে তিনি দোকানে এসে বসেন। দুপুর ১২টার দিকে কে বা কারা দোকানের মধ্যেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা দোকানের দরজার উপর তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
 
সরেজমিন দেখা যায়, নিহতের লাশ দোকানের দরজার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। এ সময় তার হাতের মুঠিতে কিছু টাকা ধরা ছিল। তার ঘাড়ে একই জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি কোপের গভীর ক্ষত রয়েছে।
 
নিহতের একমাত্র সন্তান স্বপ্না গমেজ জানান, তার মা কমলা গমেজ সাতদিন আগে চাটমোহরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আর স্বপ্না স্বামীর বাড়িতে থাকায় ঘটনার সময় বাড়িতে পরিবারের কোন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
বনপাড়া মা মারিয়া গীর্জার পাল পুরোহিত ফাদার মি. বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু জানান, এ ঘটনায় আমরা স্তব্ধ, নির্বাক। নিহত সুনীল নিরীহ প্রকৃতির লোক ছিলেন। কারও সাথে তার কোন বাদানুবাদের কথা কখনও শুনিনি। কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে বুঝতে পারছি না।
 
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মনে হচ্ছে না।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর