গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান, শিংগিমারী নদীর পানি প্রায় সময়ই বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
সোমবার সকালে হাতিবান্ধা উপজেলার সিন্দুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তিস্তার গর্ভে বিলিন হয়েছে। ধরলায় চলে গেছে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করা অর্ধ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। তীব্র পানির স্রোতের কারনে ফাটল দেখা দিয়েছে জেলার চন্ডিমারি স্পার বাঁধটি। যে কোন সময় সেটিও নদীতে বিলিন হতে পারে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক।
দীর্ঘদিন খনন না করার কারণে বন্যায় নদী গুলোর দু’তীর ভেঙ্গে আবাদী জমি, বসতবাড়ী, রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র ভাঙনে পাটগ্রাম- জোংড়া আঞ্চলিক সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় পাকা সড়কটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।এছাড়া পাটগ্রামের ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের শহরে আসার প্রবেশ মুখে ধরলা নদীর উপর প্রায় ১৪৮ মিটার দীর্ঘ বেইলি ব্রীজটি সংস্কারের নামে খুলে ফেলায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র বন্যায় বাঁশের তৈরি সাকোটি ভেঙে ভেসে যাওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে লোকজন ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার করছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের এন্ড সন্স হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্যার সময় বেইলী ব্রীজটি খুলে অন্যায় করেছে। ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য দ্রুত ব্রীজটি মেরামতের ঊদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জুন ২০১৬/হিমেল-১৬