লালমনিরহাট জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় কৃষকের নামে ধান সংগ্রহে সিন্ডেকেট বানিজ্য, কৃষক হয়রানি বন্ধ, দালালদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের বেপরোয়া উৎকোচ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সরকারি কিছু নেতার কাছ থেকে ধান ও গম নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছেন খাদ্য কর্মকর্তারা এমন দাবি সমন্বয় কমিটির সকলের।
সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলোজিত সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভার এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তাদের সর্তক হওয়ার নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সারা জেলায় খাদ্য গুদামগুলোতে সিন্ডিকেট বাণিজ্য বন্ধ করার দাবিসহ খাদ্য গুদাম গুলোতে ওজন, আর্দ্রতা, বস্তা পালটানো ও পরিবহনের নামে বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা উৎকোচ আদায় ও কৃষক হয়রানীর সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়।এ ভাবে কৃষক হয়রানির কারনে অনেক চাষী গুদামে ধান দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে, অনেক ভুমিহীন-এর নামেও ধান বরাদ্দ দেখিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট এসব কৃষক সহ সাধারন কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বিপুল পরিমান কার্ড সংগ্রহ করে তাদের নামে ধান গুদামে দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এসবের সাথে জড়িত সরাসরি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
সভায় এক সুধিজন অভিযোগ তুলে বলেন, সরকারদলীয় নেতাদের স্লিপ ছাড়া ধান, গম ও চাল গোডাউনে ঢুকানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া খাদ্য কর্মকর্তারদের ঘুষ বানিজ্য লাগামহীন হয়ে পড়েছে। যেন দেখার কেউ নেই।
উল্লেখ্য, প্রতি মন (৪০ কেজি) ধানের সংগ্রহ মুল্য যেখানে ৯ শ' ২০ টাকা, সেক্ষেত্রে জেলায় লাগামহীন অনিয়ম দুনীর্তি, ও সিন্ডিকেট বাণিজ্যের কারনে এখানো পর্যন্ত জেলার হাট-বাজারগুলোতে সংগ্রহ অভিযানের কোন প্রভাবই পড়েনি। ধান সংগ্রহ শুরুর আগে গম সংগ্রহের সময় জেলার গুটি কয়েক সরকারদলীয় নেতার ক্রয় করা গম গোডাউন জাত করা হয়েছে।
এব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা খাদ্য কর্মকর্তা গোলাম মওলা জানান, 'একটু আধটু অনিয়ম না করলে তো আর চাকুরি টিকে রাখা যাবে না।'
বিডি প্রতিদিন/২৭ জুন ২০১৬/হিমেল-১৭