৩০ জুন, ২০১৬ ১৭:০৪

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট:

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তার পাষাণ্ড স্বামী। এমনকি জোর করে তালাকনামায় স্বাক্ষরও নেয়া হয়েছে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর কাছ থেকে। বর্তমানে নির্যাতিতা গৃহবধূ মনিজা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

এঘটনায় পুলিশ হামিদুল ইসলাম(২৭) নামের এক যুবককে আটককে করলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অভিযুক্ত স্বামী সফিয়ার রহমান। ঘটনাটি ঘটে ২৮ জুন মঙ্গলবার রাতে। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, ২০১৫ সালের শেষের দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ গ্রামের জমির উদ্দিনের কন্যা মনিজা খাতুনের বিয়ে হয় পার্শ্ববতী হাতীবান্ধার দোলাপাড়া গ্রামের মৃত ছপর আলীর পূত্র সফিয়ার রহমানে সঙ্গে। দুই সন্তানের জননী মনিজার দিন ভালো কাটলেও কারণে অকারণে স্বামীর অত্যাচার ছিল তার নিত্য সঙ্গি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮জুন রাতে মনিজাকে তার বাবার বাড়ি থেকে তার স্বামী সফিয়ার নিজের বাড়ি নিয়ে এসে পরকীয়ার অভিযোগ এনে বেধরক মারপিট করে। এসময় আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তাকে সুপারী গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। পরে মনিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে হাতীবান্ধায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক একজনকে আটক করলেও অভিযুক্ত স্বামী সফিয়ার রহমানকে এখনো আটক করতে পারেনি।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান গৃহবধূ মনিজার উপর নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর