১ জুলাই, ২০১৬ ২০:৫৭

শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে জখম

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরে স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে জখম

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুলারচর ছয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলিউল্লাহ দেওয়ানকে (৩২) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোর রাতে কাচিকাটা চরজিংকিং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষককে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও সখিপুর থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নে পদ্মা নদীর তীরে দুর্গম চরে চরজিংকিং গ্রামে ৪০নম্বর দুলারচর ছয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক অলিউল্লাহ দেওয়ান থাকতেন বিদ্যালয়ের পাশে আলি হোসেন প্রধানিয়ার বাড়িতে। ওই শিক্ষকের বাড়ি একই উপজেলার উত্তর তারবনিয়া গ্রামে। বিদ্যালয়ে অন্য কোন শিক্ষক কর্মরত না থাকায় তাকে পাঠদানের পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। এ কারনে বিদ্যালয় ঈদের ছুটি হলেও তিনি দাপ্তরিক কাজের জন্য ওখানে অবস্থান করছিলেন।

শুক্রবার ভোর রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার মাথায় দুটি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এছারা তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

আহত শিক্ষক অলিউল্লাহ  বলেন, ভোর রাতের দিকে চরজিংকিং গ্রামের জেদ্দাল মোল্যা ও তার ছেলে রাজু ৫-৬ জন লোক নিয়ে দড়জা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমার উপর আক্রমন করে। তারা আমাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মাথায় কোপায় ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। গত বছর স্কুলের ক্রিড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের সাথে আমার বিরোধ হয়েছিল। 

৪০ নম্বর দুলারচর ছয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও নৈশ প্রহরি শাজাহান খান বলেন, খবর পেয়ে স্যারকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার পরিবারের সদস্য ও পুলিশকে ঘটনা জানাই। স্যারের মুখে শুনেছি জেদ্দাল মোল্যা ও তার ছেলে রাজু এ হামলা চালিয়েছে।

জেদ্দাল মোল্যা কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেদ্দাল মোল্যা ও তার ছেলে রাজু মোল্যকে পাওয়া যায়নি।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান রিমন বলেন, ওই শিক্ষকের মাথার দুই দিকে  দুটি বড় আঘাত রয়েছে। আঘাতের গভিরতা দেখে মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। আমরা তাকে পর্যবেক্ষনে রেখেছি। 
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়েছি। তারা এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।


বিডি প্রতিদিন/০১ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২২

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর