পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শারমিন আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ভাইজোড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত শারমিন উপজেলার শাখারিকাঠি ইউনিয়নের চালিতাবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে নাজিরপুর উপজেলার শাখারীকাঠি ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের তোরাফ শরীফের ছেলে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে বিভিন্ন সময় শারমিনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। সোমবারও শারমিনকে তারা বেদম মারধর করে বলে ফোন করে সে তার বাবার বাড়িতে জানায়। এরপর রাতে শারমিন ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তবে নিহতের ভাই আনিছুর রহমানের দাবি, তার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মাকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মল্লিক জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনে যে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব