২৭ জুলাই, ২০১৬ ২০:১৯

বগুড়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

বগুড়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বগুড়ায় মাইক্রোবাস চালক সোহেল রানা হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হলেন আবু জিন্নাত হোসেন জুয়েল (২৫)।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হলো- মোঃ সোহেল, সামছুল আলম ওরফে পিন্টু, মোঃ তোজাম, মেহেদী হাসান ওরফে রানা ও মানিক। মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান বুধবার আসামীদের অনুপস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বগুড়া সদরের ডাকুরচক এলাকার মাইক্রোবাস চালক সোহেল রানাকে ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে আসামীরা তার মাইক্রোবাস ভাড়া নেয়। রাত দেড়টার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। ঢাকায় রওনা দেওয়ার আগে সোহেল রানা মোবাইলে তার বাড়ির লোকজনকে এই বলে খবর দেয় যে, সে মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু পরের দিন সকালে সারিয়াকান্দির ঘুঘুমারি প্রাইমারী স্কুলের কাছে এলাকার লোকজন সোহেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে সোহেলের বড় ভাই বিপ্লব সরকার ঘটনাস্থলে এসে লাশ সনাক্ত করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। এ ব্যপারে সোহেলের বড় ভাই বিপ্লব সরকার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে সাজাপ্রাপ্তদের সোহেল ও শামছুল আলম পিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান একই বছরের ২৯ নবেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত বুধবর এই রায় ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি এ্যাডভোকেট রেজাউল হক ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট পদ্ম কুমার দেব।

বিডি প্রতিদিন/ ২৭  জুলাই ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর