২৯ জুলাই, ২০১৬ ১৪:৫৪

নেত্রকোনায় বাউল সাধক শাহ্ আব্দুল করিমের জন্ম-বার্ষিকী পালিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনায় বাউল সাধক শাহ্ আব্দুল করিমের জন্ম-বার্ষিকী পালিত

“কোন মেস্তরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করে-রে ময়ুর পঙ্খী নাও”। এমন আধ্যাতিক অসংখ্য বাউল গানের গীতিকার ভাটির পুরুষ বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিম। ভাটির দেশের এই বাউল সম্রাটের জন্ম শতবার্ষিকী এবার পালিত হচ্ছে নেত্রকোনাতেও। পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জের ধিরাইয়ে বাউল সম্রাটের জন্ম। 

ভাটির অঞ্চলের হিসেবে আরেক হাওর জেলা নেত্রকোনায় আয়োজন করা হয়েছে দুদিন ব্যাপী শাহ্ আব্দুল করিম জন্ম শতবার্ষিকী উৎসব। এ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় আজ থেকে পাবলিক হল মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

শাহ্ আবদুল করিম জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নেত্রকোনা পর্ষদের আহ্বায়ক আ ফ ম রফিকুল ইসলাম আপেল জানান, শহরের পাবলিক হল মিলনায়তনে প্রতিদিন বিকাল ৫টায় আলোচনা সভা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন দেশ বরেণ্য এবং স্বাধীনতা পুরষ্কবার প্রাপ্ত লেখক শিক্ষাবিদ যতীন সরকার। এছাড়াও দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম সংগঠক শফি আহমেদ। আলোচক হিসেবে থাকবেন নেত্রকোনা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কবি সরোজ মোস্তফা, রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। 

দ্বিতয়দিনে আ ফ ম রফিকুল ইসলাম আপেলের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পর্ষদের সদস্য সচিব হাসান আরিফ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী।

এছাড়াও “হিংসাকুড়ে বলেরে আব্দুল করিম নেশাখোড়, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গান গাই আমার মনরে বোঝাই, মন থাকে পাগলপাড়া” এমন সব বিখ্যাত গান নিয়ে সংস্কৃতি পর্বের “বাউল আসর” পরিবেশন করবেন জেলার বিভিন্ন এলাকার বাউল শিল্পীরা। 

আয়োজকরা আরও জানান, বাউল সাধক শাহ্ আব্দুল করিম গানের বাণী আর সোঁদামাটির গন্ধে ভরা সুরের যাদুকরী স্পর্শে শাশ্বত বাংলার লোক ঐতিহ্যকে বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দিয়েছেন। মানুষের মর্যাদা, মানবিকবোধ আর মেলবন্ধনের চিরায়ত আকাঙ্খা তাঁর জীবন আর সংগীত সাধনার প্রতিটি স্তরে অনুরণিত হয়েছে। তাই এই মহান সাধকের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারে বাংলার গান, বাংলার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতেই এ আয়োজন। 

 


বিডি প্রতিদিন/২৯ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৪

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর