যৌতুকের নির্যাতনে ঠাকুরগাঁওয়ের ফকদনপুর কসাইপাড়া গ্রামের রাণী আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু স্বামীর পরিবারের দাবি অসুস্থতা জনিত কারণে রানীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই পরিবারের লাশ নিয়ে চলছে টানাহেচরা।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে রানী আক্তার মৃত্যু। বৃহষ্পতিবার লাশের ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্টের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ফকদনপুর কসাইপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে ফয়জুল ইসলামের সাথে পাশ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে রানী আক্তারের ১৮ মাস আগে বিয়ে হয়।এ বিষয়ে মেয়ের পিতা আব্দুস সালাম জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ফয়জুল যৌতুকের জন্য প্রায় অত্যাচার করতো আমার মেয়েকে।
ফয়জুলের বাবা আলম জানান, রানী বেগম অসুস্থার জন্য মারা যায়। সে কিছুদিন আগে থেকে অনেক অসুস্থ ছিল। রানী আক্তারের মৃত্যুর পর থেকে স্বামী ফয়জুল পলাতক রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ২৫ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন