২৭ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৪১
আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশসহ আহত ৪, অস্ত্র উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশসহ আহত ৪, অস্ত্র উদ্ধার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোরে চরপার্বতী ইউনিয়নের কেন্দ্রাতলি সোয়ানীর টেক নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ (৩৪) নামে পুলিশের তালিকাভুক্ত এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয় এবং তিন পুলিশ আহত হয়। 

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফ উদ্দিন, কনষ্টেবল হুমায়ুন ও জয়নাল। এদিকে গুলিবিদ্ধ আদাজকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং আহত পুলিশ সদস্যদেরকে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া আজাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে কোম্পানীগঞ্জেরর আলোচিত যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান হত্যা মামলা প্রধান আসামি আবুল কালাম আজাদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আজাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। 

এ সময় চরপার্বতী ইউনিয়নের কেন্দ্রাতলি সোয়ানীর টেক নামক স্থানে হত্যা মামলার আরেক আসামি ইয়াছিনের নেতৃত্বে ৭-৮জন সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আজাদকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ডান হাটুতে গুলিব্ধি অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে আজাদ। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৩টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আজাদের শরীরের অস্ত্রপ্রচার চলছে।

আজাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৮টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ৪ আগষ্ট চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সুফিয়ানকে গুলি করে হত্যা করে আজাদ। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

 

বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১১

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর