ফারাক্কার ১০৯টি গেটের মধ্যে ৯৫টি গেট খুলে দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে মাত্র ১৬.৫ কি. মিটার দূরে ফারাক্কার অবস্থান হওয়ায় পদ্মা নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর, চরবাগডাঙ্গা, নারায়নপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী ন্যাংড়ার মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার প্রায় দুইশ' বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কেই এখনো এলাকায় যাননি এবং কোন সহায়তা করেনি।
অপরদিকে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাট পর্যন্ত সড়কে গত ৩ দিন ধরে নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বর্তমানে সড়কটি হাঁটু পানির নিচে রয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার জানান, ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার কারণে পদ্মা ও মহানন্দা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং মহানন্দা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকাল থেকে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ঘন্টায় মহানন্দার পানি বেড়েছে সেন্টিমিটার। কিন্তু মহানন্দার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৩