লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইলিশের বাজার। দীর্ঘদিনের মন্দাভাব কাটিয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। গত ২/৩ দিন যাবত মৌসুমের সর্বোচ্চ ইলিশ ধরা পড়ায় আনন্দিত জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ঘাটে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি থাকায় দামও অনেকটা কমে গেছে। আড়ৎদার ও মৎস্য শ্রমিকদের হাঁক-ডাকে মুখরিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলো।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদী নির্ভরশীল সরকারি তালিকায় ৩৬ হাজার ৭ শত জেলে থাকলেও নদী ও মাছ নির্ভরশীল ৪০ হাজার জেলে পরিবার। এখানকার জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এখন পুরোদমে বৃষ্টি না হলেও সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে শুরু করেছে নদীতে। সামান্য গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় মাছঘাটগুলোতে ইলিশের আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দীর্ঘ দিন পর এভাবে ইলিশ ধরা পড়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সাত হাজার জেলের মুখে হাসি ফুটেছে। এ কারণে বাজারে ইলিশের দামও আগের চেয়ে কমেছে।
রায়পুর মৎস্যজীবি প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বেপারী জানান, যে হারে নদীতে ইলিশ পড়ছে। তাতে করে জেলেদের ইঞ্জিন চালিত নৌকার খরচ ও সংসার চালাতে এখন আর কষ্ট হয়না।রায়পুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানির প্রভাব থাকায় সাগর থেকে মাছ নদীর মোহনায় আসতে শুরু করে। এ ছাড়া জাটকা আহরণে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশ পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। এতে করে জেলেদের জালে অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। জেলেরা আরেকটু সচেতন হয়ে ঝাটকা নিধনসহ মৎস্য সংরক্ষণ আইন মেনে চললে এভাবে সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন মানুষ সারা বছরই বড় ইলিশের স্বাদ পাবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এ মজুমদার