২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:২৬

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলা: পিপি জটিলতার জন্য সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, হবিগঞ্জ

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলা: পিপি জটিলতার জন্য সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় প্রার্থনা করায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সোমবার মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আতাবুল্লাহ এর আদালতে মামলার কাজ শুরু হয়। এ সময় কারাগারে থাকা মামলার ৫ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। আগামী ৯ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রওাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, 'চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের পর সোমবার ছিল মামলার প্রথম তারিখ। স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় সরকার পক্ষ সময়ের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেন'।

বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো জানান, 'পিপি জটিলতার জন্য সোমবার মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। মামলার বাদী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছিল স্পেশাল পিপি বদলের জন্য। তাদের অভিযোগ ছিল বর্তমান স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম পক্ষপাত করতে পারেন। তার যায়গায় একজন সিনিয়র আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য। তারা তাদের নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনের নামও প্রস্তাব করেন'।

জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম এই আবেদন পেয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরীর কাছে মতামত চেয়ে পত্র লিখেন। কিন্তু যথাসময়ে মতামত না পাওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে কোন সিদ্ধান না হওয়ায় সোমবার নির্ধারিত তারিখে স্বাক্ষী গ্রহণ হয়নি।

এ দিকে পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী তার মতামতে সাবেক স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল মনসুরের নাম প্রস্তাব করেছেন বলে একটি সূত্র জানায়। তবে এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
 
গত ৭ সেপ্টেম্বর ৫ আসামীর উপস্থিতিতে ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে ৩ জন।
 
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ৪ শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে বালুমাটিতে পোতা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতাদির হোসেন ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তন্মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে একজন র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

 

বিডি-প্রতিদিন/২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর