শিরোনাম
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২১:৫৩
ফিরিয়ে দেন প্রবাসী বাবার প্রস্তাব

কবুতরের মায়ায় গেলেন না যুক্তরাষ্ট্র!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

কবুতরের মায়ায় গেলেন না যুক্তরাষ্ট্র!

শখের বশে কবুতর পালন শুরু করে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কুতুবপুর গ্রামের শাওন হোসেন আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছেন বিশাল খামার। কবুতরের মায়ায় পড়ে বাতিল করলেন স্বপ্নঘোরের যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া।

এখন তিনি সফল কবুতর খামারি। তার খামারে আছে কয়েকশ বিভিন্ন জাতের মুল্যবান কবুতর। যার মধ্যে গিরীবাজ, পোটার, গোল্ডেন সুইট, সিরাজি কিং অন্যতম।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় শাওনের বাড়িতে বিভিন্ন গাছে কবুতরের কাঠের খুপড়ি বাধা। তাতে চলে কবুতরের উড়াউড়ি বিশ্রাম। দুই একরের বাড়ি জুড়ে শুধু বাকবাকুম শব্দ।

প্রতিবেশি লুটন বলেন, যখন কবুতর গুলো উড়াল দেয় মনে হয় হেলিকপ্টার যাচ্ছে। উদ্দ্যোক্তা শাওন জানান, দিন রাত বিভিন্ন লোকজন কবুতর দেখতে আসেন কেউ কেউ কিনতেও আসেন।এখানে ১০০০ থেকে ২০০০০ টাকা দামের কবুতর আছে। সৌখিনরা কিনেও।

মাসে কি পরিমান আয় হয় এ প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রথমে ২০০৮ সালে কয়েক হালি কবুতর দিয়ে, আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে এক সময় কবুতর অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিক্রি শুরু করেন সে থেকে খামার বাণিজ্যিকতা শুরু।

২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাবা শাওনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার ব্যবস্থা করেন কিন্তু তখন এ খামার ব্যাপক আকার হওয়ায় শাওন সিদ্ধান্ত নেন বাড়িতেই কবুতরের সাথে থেকে যাবেন। এ পর্যন্ত তিনি কবুতরের জন্য দুইটি পাকা ঘর বানিয়েছে যাতে মুল্যবান কবুতর গুলো থাকে বাকি গুলো গাছে, বারান্দায়, থাকে। শাওন জানান এ খামার লাভজনক, তাছাড়া আরো দুজন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

কি কি সমস্যা হয় জানতে চাইলে বলেন, পরিষ্কার জীবানু মুক্ত রাখতে পারলে কুনু সমস্যা হয় না। নিয়মিত ওষুধ, ভেক্সিন দিলে নিরাপদ হওয়া যায় কিন্তু সমস্যা হল স্থানীয় ফেঞ্চগঞ্জে কবুতরের খাবার ও ওষুধ পাওয়া যায় না।

শাওন মনে করেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কবুতর থেকে ব্যাপক আয় করা সম্ভব সাথে অনেকের বেকারত্ব নিরসন হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর