বরগুনার আমতলী উপজেলার নয়া মিয়া হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি ও দু'জনের যাবৎজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৩৭৯ ধারায় প্রত্যেক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বরগুনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়ার জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় দেন। সকল আসামির উপস্থিতিতে বুধবার সাড়ে ১১টায় এ রায় ঘোষনা করা হয়।
আসামীদের মধ্যে মো. শহিদুল চৌকিদার, বারেক চৌকিদার, বশির মাতুব্বর ও মোয়াজ্জেমকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয় । অন্য দুই আসামী আব্দুর রব চৌকিদার ও মজিবরের যাবৎজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালাত।
মামালা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১০ এপ্রিল আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নয়া মিয়া ৭০ হাজার টাকা নিয়ে কলাপাড়া থেকে বাড়ী ফেরার পথে তাকে জোরপূর্বক আসামি শহিদুল চৌকিদারের বাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আসামিরা নয়া মিয়াকে পাটা-পুতা দিয়ে কোমড়ের নিচের দিকের অংশ ছেঁচে থেতলে দেয়। পরে খবর পেয়ে নয়া মিয়ার পরিবারের লোকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা নয়া মিয়াকে শহিদুল চৌকিদারের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে আসার পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় নয়া মিয়া মারা যায়। এঘটনায় নয়া মিয়ার ছেলে মো. নাসির বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে।মামালার বাদী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমার বাবাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে এই সন্ত্রসীরা। আজ আদালতের রায়ে আমরা সবাই খুশি। আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইজীবি (এপিপি) এড. আক্তারুজ্জামান বাহাদুর বলেন, আমার এই মামলায় মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৪ জনকে ফাঁসি ও দু'জনকে যাবৎজীবন কারাদণ্ড ও অন্য একটি ধারায় প্রত্যেকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষটাকা জরিমানা করা হয়। এ রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি ও আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি । এদিকে মামলার আসামি পক্ষের আইজীবি কমল কান্তি দাস জানান, এ রায়ে আমারা সন্তুষ্ট নই। তাই আমারা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বিডি প্রতিদিন/২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল