২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:২৭

ভালুকায় ইউপি মেম্বারের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ

মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন, ভালুকা (ময়মনসিংহ)

ভালুকায় ইউপি মেম্বারের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ

ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ। বুধবার দুপুরে উপজেলার পাড়াগাঁও গাংগাটিয়া গ্রামে গাংগাটিয়া এডুকো স্কুলের সামনে এলাকাবাসির বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে রফিকুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ভূয়া জেল সুপার পরিচয়ে বিকাশের মাধমে ৫৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত মেম্বারের পরিবারের অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলামকে গাংগাটিয়া এডুকো স্কুলের নির্মাণকাজের ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে ও মেম্বারের মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে ওই স্কুলের সামনে এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ জমায়েত হয়। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী ফনেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ জানান, 'ওই স্কুলের জন্য মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও তার চাচা আব্দুস ছাত্তার প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতাংশ জমি বিনে পয়সায় ২৫ বছরের জন্য লিখিতভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেন। এছাড়া মেম্বার স্কুল নির্মাণকালে ইট, বালিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সাপ্লাই করেন। যার দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আলফা কংক্রিট ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেডের কাছে পাওনা রয়েছে। ওই টাকা না দেয়ার জন্য মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে'।

২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, 'মেম্বার রফিকুল ইসলামকে মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। 
মেম্বারের স্ত্রী আছমা আক্তার জানান, ঠিকাদরের কাছ থেকে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য তার স্বামী ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত ভাবে জানানোর পর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাবর পাওনা টাকা মিটিয়ে দেয়ার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানান। এর পরই তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়'। 

তিনি আরো জানান, 'আমার স্বামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে জেল হাজতে নেয়ার পর তিনি  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অপারেশন লাগবে এই বলে ভূয়া জেল সুপার পরিচয়ে মোবাইলে টাকা পাঠাতে বলা হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ৫৬ হাজার টাকা প্রতারণা করে নেয়া হয়। টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি সুস্থ্য রয়েছেন এবং ময়মনসিংহ জেল হাজতেই আছেন'।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাদিরা আক্তার লিপি বলেন, 'ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ওই মেম্বারের পাওয়ানা টাকার সংক্রান্ত বিষয়ে রয়েছে বলে আমি শুনেছি'।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আমার কাছে টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে ওই মেম্বার লিখিতভাবে জানালে আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বরাবর পাওনা টাকা মিটিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে চিঠি প্রেরণ করি।


বিডি-প্রতিদিন/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর