পাবর্ত্য খাগড়াছড়িতে আট বছর আগে নিখোঁজ শিশু নুরুল ইসলামকে মা-বাবার হাতে তুলে দিলেন পুলিশ সুপার।
শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী তার কার্যালয়ে বাবা সরবত আলী ও মা ফাতেমা বেগমের কাছে উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, নুরুল ইসলাম(১৫) আট বছর আগে খাগড়াছড়ি শহরের খাগড়াপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। অভাবের সংসার হওয়ায় নুরুল ইসলামকে বাড়ির পাশের খাগড়াপুর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে কাজ দিয়েছিল বাবা সরবত আলী। সেখান থেকে আট বছর আগে নিখোঁজ হয় নুরুল ইসলাম। বেশী বেতনের লোভ দেখিয়ে অপরিচিত একলোক তাকে বরিশাল নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা, তারপর কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারত পাচার করা হয়। ভারতে চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেলে কাজ করত সে।দিল্লিতে “বাচপান বাঁচাও আন্দোলন” নামে একটি সংগঠন তাকেসহ বেশ ক’জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নুরুল ইসলামের প্রথম সন্ধান দেয় সংগঠনটি। তার দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে শুক্রবার যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে নুরুল ইসলামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাবা সরবত আলী, মা ফাতেমা বেগম, ছোট ভাইসহ খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি নুরুল ইসলামকে বাচপান বাঁচাও আন্দোলনের কাছ থেকে গ্রহণ করে। পরে মা-বাবার হাতে তুলে দেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী বলেন, দিল্লির ‘বাচপান বাঁচাও আন্দোলন’র যোগাযোগ কর্মকর্তা পরমা আচার্যীর মাধ্যমে নুরুল ইসলামের অবস্থান জানতে পারি। নুরুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লীস্থ বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে ডিআইজি মোশারফ হোসেনের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে আমাকে তথ্য চাওয়া হয়। তার অভিভাবকের নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা অনুসন্ধান করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম শুরু করা হয়। শুক্রবার যশোরের বেনাপোল চেক পোষ্ট দিয়ে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়।
আট বছর পর নুরুল ইসলাম বাড়ি ফেরায় তাকে দেখতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শালবন এলাকার বাসায় প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে ভিড় করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন