মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী হাসিবা খাতুন (১৩) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ইভজিটিংয়ের বিচার না পেয়ে বিষপান করেছেন। বর্তমানে তিনি মুজিবনগর বল্লভপুর মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে।
হাসিবা খাতুন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র বায়জিদ আমাকে বিরক্ত করে আসছিল। গতকাল বায়জিদ ও তার বন্ধু সাকলাইন বিদ্যালয়ের বারান্দায় আমাকে থামিয়ে বায়জিদকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। বিয়েতে আমি রাজি না হলে বিদ্যালয় থেকে সে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে জানায়। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষকে জানালে স্যার আমাকে বলেন আমার বাবাকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দেবেন। এতে আমি লজ্জায় টিফিনে বাড়ি ফিরে বিষপান করি।
হাসিবা খাতুনের মা মোছা. শাপলা বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে ছেলেটি আমার মেয়েকে বিরক্ত করে আসছে। গতকাল বিদ্যালয়ে ছেলেটি আমার মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে অভিমানে ও লজ্জায় দুপুর সোয়া ১ টার দিকে বাড়ি ফিরে সে ঘরে রাখা ধানে দেওয়া বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তার মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, গত রাতেই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক আমার মেয়েকে দেখে গেছেন। শিক্ষকগণ বায়জিদের দোষের কথাও শ্বিকার করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, তাই আমরা এ পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করিনি। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিহীত না করলে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হোসেন বলেন, পারিবারিক কোন্দলের কারণে মেয়েটি বিষ পান করেছে। বিদ্যালয়ে কোন অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র বায়জিদ হাসিবা খাতুনকে বিরক্ত করত।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে পরিবার ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন অভিযোগ দায়ের না করায় তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে নিজ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ