২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ১৭:২৪

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির দু'পক্ষের সম্মেলন কাল, কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির দু'পক্ষের সম্মেলন কাল, কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা

২৫ বছর পর আগামীকাল বুধবার শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির দুটি পক্ষ আলাদা ভাবে সম্মেলন আয়োজন করছেন। আলাদা আলাদা স্থানে সম্মেলন করার অনুমতি চেয়ে দু'পক্ষই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় আবেদন করেছেন। এ নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা।

জেলা বিএনপির সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালে শরীয়তপুরে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল। এরপর আর শরীয়তপুরে সম্মেলন হয়নি। এর মাঝে কয়েক বার কেন্দ্র থেকে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির কমিটি করে দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে  শরীয়তপুরে বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে কেন্দ্র থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হলে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। তখন কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি পক্ষ দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে। এর পর থেকে সব সময় দুটি পক্ষ আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসূচী পালন করে।

একটি পক্ষর নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরন ও সাধাণি সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালু। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ হিরু ও সাবেক সাংসদ হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গর স্ত্রী তাহমিনা আওরঙ্গ।

কিরন-কালু পক্ষ বুধবার জেলা বিএনপির সম্মেলন করার অনুমতি চেয়ে ২০ অক্টোবর একটি আবেন করেন জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের কাছে। আবার একই সময়ে সম্মেলন করার জন্য জামাল শরীফ-তাহমিনা পক্ষ ২৩ অক্টোবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। জামাল শরীফ-তাহমিনা পক্ষ অপর পক্ষের সম্মেলন বাতিলের দাবি ও তাদের সম্মেলন সফল করার জন্য সোমবার জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালু বলেন, জেলা বিএনপি কেন্দ্র থেকে অনুমোদিত একটি কাঠামো। কেন্দ্রের নিদের্শে সম্মেলনের আয়োজন করছে। বড় দল অনেক নেতাকর্মীর ক্ষোভ থাকতে পারে। তারা হয়ত ক্ষোভের কারণে এমন করছে। সকল বিভেধ ভুলে সবাই ঔক্যবদ্ধ হয়ে সম্মেলন সফল করবে এমনটা আশা করছি।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ হিরু বলেন, যারা কখনও রাজপথে থাকে না তারা জেলা বিএনপির পদ দখল করে আছে। যারা মামলা হমলায় জর্জরিত, আন্দেলন সংগ্রামে বিএনপিকে আকরে থাকে তাদের উপেক্ষাকরে ওই পক্ষ গোপনে সম্মেলন আয়োজন করছে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। ওই পক্ষকে সম্মেলন করতে দেয়া হবেনা।

শরীয়তপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো.আব্দুল বারি বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন করা অনুমতি চেয়ে দুটি পক্ষ আলাদা ভাবে আবেদন করেছেন। সম্মেলনের স্থান দুটি ২০০ মিটারে মধ্যে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি, আইন শৃংখলা রক্ষার্থে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামাওবায়েদ মুঠোফোনে বলেন, শরীয়তপুরে বিএনপির জেলা সম্মেলন নিয়ে দুটি পক্ষর মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দুইপক্ষর সাথে কথাবলছি। যাতে সকলের অংশগ্রহণে একটি স্থানে সফল সম্মেলন হয় সেই উদ্যোগ নেয়া হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর