২৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০৫:২৯
বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে

বাগেরহাটে এবার চাল পাবেন হতদরিদ্ররা

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট :

বাগেরহাটে এবার চাল পাবেন হতদরিদ্ররা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতারণ তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের খবর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। এরপর সরেজমিনে অভিযোগগুলো তদন্ত করে আলোচিত ওই তালিকা বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। 

তালিকায় ধর্ণাঢ্যদের নাম বাদ দিয়ে এখন নতুন কার্ড পাচ্ছেন স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বঞ্চিত হতদরিদ্র নারী-পুুরুষরা। চলতি মাস থেকেই বঞ্চিত ওইসব হতদরিদ্ররা চাল পাবেন, এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফকিরহাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন।

ফকিরহাট উপজেলার লকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতারণ তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম করে বিত্তশালীদের কার্ড পাইয়ে দেন ইউপি সদস্য। অভিযোগ ওঠে, ইউপি সদস্য আলী আহম্মেদ অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে দালান-কোঠা, মুরগীর ফার্ম, চিংড়ী খামারী ও রাইসমিল আছে এমন অধিকাংশ মানুষসহ ২৪৮ জনের নাম তালিকাভুক্ত করে তাদের কার্ড দিয়েছেন। 

এই অনিয়মের কারণে সরকারের বরাদ্ধকৃত ১০ টাকা কেজি দরে চাল প্রাপ্তির কার্ড থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এঘটনায় ক্ষুব্দ কার্ড বঞ্চিত হতদরিদ্র নারী-পুুরুষ শনিবার বিকালে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরদিন রবিবার ওই খবরটি বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হলে শুরু হয় তোলপাড়। 

এরপর খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গঠন করা হয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সরেজমিনে ছুটে যান ফকিরহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও তালিকা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান শেখ ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এবং তালিকা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মো. নাছির উদ্দিনসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। 

তদন্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত খবরটির সত্যতা মেলে। এরপর বাতিল করা হয় লকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতারণের আলোচিত কার্ডের তালিকা। 

ফকিরহাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানান, লকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মাঠ পর্যায় থেকে হতদরিদ্রদের নাম অন্তভুক্ত করে আজকালের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে নতুন তালিকা চুড়ান্ত করা হবে। চলতি মাস থেকেই বঞ্চিত ওইসব হতদরিদ্ররা যাতে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি কার্ডধারী মাসে ৩০ কেজী চাল পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। 


বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর