লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা থেকে হাতকড়াসহ মিলন (২৫) নামের এক আসামি পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুরো হাতিবান্ধায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাড়াশি অভিযান চালিয়েও পুলিশ এই দাগি আসামিকে ধরতে পারেনি। টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সে পালিয়ে যায় বলে থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে থানার লকাপের ভিতরে থাকা আসামি মিলন (২৫) নামের এক যুবক টয়লেটে যেতে চায়। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টবল মতিয়ার তাকে হাতকড়াসহ পাশে থাকা টয়লেটে নিয়ে যায়। তবে টয়লেট থেকে ফেরার পথে মিলন ওই কনস্টবলকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়াসহ থানার দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্ধর্ষ চোর মিলন দিনাজপুরের ফুলহাট গ্রামের প্রায়াত আনছার আলীর ছেলে। তার বড় ভাই মাহবুব হাতীবান্ধায় বিয়ে করার সুবাধে উপজেলার সিন্দুর্ণা এলাকায় বসবাস করছে। এতে মাঝে মধ্যে মিলন তার বাড়িতে এলোও চুরির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় তাকে বেড় করে দেয় বড় ভাই মাহবুব। স্থানীয়দের কাছে মাহবুব ভালো মানুষ ও সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু ছোট ভাই মিলনের নামে হাতীবান্ধা থানায় চুরির মামলা রয়েছে।এই অবস্থায় সোমবার রাতে উপজেলার সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামে মিলনকে ১ টি ছাগল ও মোবাইল চুরির সময় আটক করে গ্রাম পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে থানায় সোপর্দ করেন। কিন্তু দুর্ধর্ষ চোর মিলন শেষ পর্যন্ত টয়লেটে যাওয়ার অজুহাতে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মাঝেও নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মিলনকে ধরতে পুলিশ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল