২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১৮:১৭
দুই ইউপিতে নির্বাচন ৩১ অক্টোবর

কমলনগরে মাঠে নেই বিএনপি, প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

কমলনগরে মাঠে নেই বিএনপি, প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা

আগামী ৩১ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনুষ্ঠিত হবে দুই ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে এসব এলাকা। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বিএনপি প্রার্থীরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে মাঠ ছাড়া রয়েছেন। এক্ষেত্রে সরকার দলীয় প্রভাব বিস্তারসহ নানা অভিযোগ তাদের। যদিও তা মানতে নারাজ সরকার দলের প্রার্থীরা। এ নিয়ে ভোটারদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও। এলাকা ঘুরে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি চিত্র ক্যামরায় ধরা পড়লেও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়া না পাওয়ার হিসেব দেখিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন।

 
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, আগামী ৩১ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর মার্টিন ও চর লরেন্স ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই তারিখে জেলার ৪টি উপজেলায় বিগত ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত আরও ১৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে কমলনগরের চর মার্টিন ও চর লরেন্স ইউনিয়ন এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।  এ দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন লড়ছেন। এখানে ৩১৮১৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

তবে এ দুটি ইউনিয়নে বিএনপি’র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। কিছু পোস্টার ছাপিয়ে তারা দায়সারাভাবে এলাকায় অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়রা জানান। তবে চরমার্টিন ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমদ বলছেন সরকার দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা  তাদের প্রচারণায় বাধা, ভাংচুর, বোমাবাজি করে আতংক সৃষ্টি করার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছেন। একই অভিযোগ চর লরেন্স ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনেরও, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।  

এদিকে এ দু ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যন প্রার্থী নুরুল আমিন মাষ্টার (চর লরেন্স) ও ইউছুফ আলী মিয়া (চর মার্টিন) ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। যদিও তারা বিএনপি’র প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ দু ইউনিয়নে অন্য দলের প্রার্র্থীরা নাম মাত্র প্রার্থী থাকলেও তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।

অন্যদিকে সাধারণ ভোটাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কেউ বলছেন সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হবে কিনা ভেবে শঙ্কিত তারা, বোমাবাজি ও মহড়া আতংকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ভাবছেন মানুষ। আবার কেউ বলছেন নির্বাচনকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দিপনা কাজ করছে। অপরদিকে এসব এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজন মোটরসাইকেল মহড়া, দেয়ালে পোস্টার লাগানো, মিছিল করাসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন দৃশ্য চোখে পড়লেও  নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। 

এসব বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর