৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৪:৩১

দলীয় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা লাঞ্ছিত

এস এম এরশাদ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

দলীয় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা লাঞ্ছিত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তোফাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর সমর্থকেরা তার বাড়িতে তোফাকে লাঞ্ছিত করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ বছর পর শনিবার সকালে উপজেলা সদরের বংশাই মসজিদ মাঠে মির্জাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান।

সম্মেলন উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফকির মাহাবুব আনাম স্বপন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এন আই খান, খালেদা পান্না, লুৎফর রহমান মতিন, সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহম্মেদ খান।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা। 

সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে বিকালে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনার মাধ্যমে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে সভাপতি সম্পাদক নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম নয়া ছাড়াও অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ ও ফিরোজ হায়দার খান নেতৃবৃন্দকে গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করার কথা বলেন। পরে নেতৃবৃন্দ ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করেন। ভোট শেষে কাউন্সিলরদের ভোট প্রদানের ব্যালট পেপার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তোফা তার কাছে জমা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আবুল কালাম আজাদের সমর্থক আব্দুস সালাম মৃধা ও আজাহার মিয়াসহ কালামের কয়েকজন সমর্থক উত্তেজিত হয়ে শামসুল আলম তোফার ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ করে লাঞ্ছিত করে। এর ফলে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্কিীর বাড়ির আঙ্গিনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পক্ষকে সেখান থেকে বংশাই রোডে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

রাত ৯টার দিকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে জেলা নেতাদের বৈঠকে এর সমাধান করা হয়েছে বলে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের শিকদার জানিয়েছেন। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া না গেলেও একই মোবাইল ফোনে কথা বলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আজহার মিয়া। তিনি বলেন, একটু রাগারাগি হয়েছে মাত্র। রাতেই জেলার নেতাদের সাথে কোলাকুলি করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। 

মির্জাপুর পৌর  পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। রাতেই সদরের দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় ও জেলা বিএনপির নেতাদের সাথে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর