৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:২৮

রৌমারীতে ভারতীয় হাতির তাণ্ডব, আহত ৩

সাখাওয়াত হোসেন সাখা, রৌমারী

রৌমারীতে ভারতীয় হাতির তাণ্ডব, আহত ৩

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আবারও ভারতীয় বুনো হাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে। হাতির আক্রমণে ৩ জন স্কুল শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৫/১৬টি বুনো হাতি বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত করছে। সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশি জমির সরিষা, বোরো বীজতলা, ভুট্টা ও আখের ক্ষতি হওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে খেয়ারচর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা ওই বুনো হাতির দল গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলের ওই ক্ষতি করে। আজ সোমবার হাতির দলটি গয়টাপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের একটি আখ খেতে অবস্থান করছিল।

এদিকে, আজ সোমবার বুনো হাতির দলটি গয়টাপাড়া সীমান্তের একটি আখ খেতে অবস্থান করে আখের ব্যাপক ক্ষতি করছে। হাতি দেখতে গিয়ে ৩ স্কুল শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাতির ধাওয়ায় ৭ম শ্রেণির মেহেরুল ইসলাম, মোখছেুর রহমান ও রূপালি পারভীন নামের ৩ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। হাতি দেখার জন্য অসংখ্য নারীপুরুষ শিশুরা হাতির দলটিকে ঘিরে রেখেছে। হাতির দল যেদিকে যাচ্ছে তার পিছে পিছে মানুষও ছুটছে। মানুষের ভয়ে হাতি আখ খেত থেকে বের হচ্ছে না। এর আগে ওই হাতিগুলো খেয়ারচর, আলগার চর, ঝাউবাড়ি, বড়াইবাড়ি, বারবান্দা, বামনেরচর হয়ে গয়টাপাড়া সীমান্তে অবস্থান নেয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বন বিভাগের কর্মীরা হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। বন বিভাগের কর্মী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘অসংখ্য দর্শকের কারনে হাতির দলটি আখ খেত থেকে বের হচ্ছে না। মানুষ ভিড় না করলে হাতি তাড়িয়ে দেয়া যেত। কিন্তু কোনো ক্রমে দর্শকদের থামাতে পারছি না।’ 

গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, সীমান্তের মানুষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে যেন হাতির কাছে বা উত্ত্যক্ত না করে। কেননা হাতির স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা না দিলে হাতি কারো ক্ষতি করবে না।’

সরেজমিনে সীমান্তের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতির আক্রমণের ভয়ে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলোর মানুষ রাত হলেই আগুন জ্বালিয়ে পটকা ফাটিয়ে অবস্থান করছে। সীমান্তের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না। তাদের মাঝে হাতি আতংক বিরাজ করছে। 

গয়টাপাড়া গ্রামের কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘হাতির দল আমার আখ খেতের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত করছে।’ 

হাছেন আলী নামের এক কৃষক জানান, আমার ৩০ শতক জমির ভুট্টাখেত নষ্ট করে ফেলেছে। 

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বন বিভাগের কর্মীদের হাতি পর্যবেক্ষনে সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেউ যেন হাতির কাছে না যায়।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর