শিরোনাম
৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:৪১

সফল মৌচাষি খাগড়াছড়ির বাথাং মারমা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

সফল মৌচাষি খাগড়াছড়ির বাথাং মারমা

মৌচাষি বাথাং মারমা (অং) খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে সফল মৌচাষি হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। বাড়ির আঙ্গিনায় মৌ চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে কুটির শিল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে মৌ চাষ শুরু করে। 

প্রথমদিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের চাকরির পাশাপাশি বাথাং মারমা মৌচাষ করতেন। ২০০৮ সালে চাকরি থেকে অবসরের পর পুরোদমে মৌচাষ করছেন। পাহাড়ের মধু চাষের জন্য তৈরি বাক্সে রাণী মৌমাছি ধরার জন্য ফাঁদ ফেলেন। দীর্ঘ এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে রাণী মৌমাছি ও তার সঙ্গে কর্মী মৌমাছিরা ফাঁদ ফেলা বাক্সে এসে আশ্রয় নেয়। মৌমাছিসহ বাক্সগুলো নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে পাঁচটি বাক্সে তার মৌমাছি চাষ চলছে।  

প্রতি বছর এসব বাক্স থেকে ৩০ থেকে ৪০ কেজি মধু উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি মধু ১০০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। বাথাং মারমার সংসারে স্ত্রী ও চার ছেলে, চার মেয়ে। চাকরির বেতন ও মৌচাষের আয়ের টাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করিয়েছেন মারমা।

বাথাং মারমা জানান, বড় ছেলে কেয়ামং মারমা দামপাড়া পুলিশ লাইনে এস আই পদে কর্মরত। অন্যরাও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। কুটির শিল্পের মৌচাষ প্রকল্পে প্রশিক্ষক হিসেবেও তিনি কাজ করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০০ হাজার জনকে তিনি মৌচাষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর