৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২০:৫১

পুকুর দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পুকুর দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৪

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কুহাড় গ্রামে সরকারি খাস পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে শিশুসহ আওয়ামী লীগের তিন সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হলেও থানায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে এর আগের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে অনেক আগে থেকেই উভয় পক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলেন, কুহাড় গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুস সালামের শিশুপুত্র মাহাবুর রহমান (৭), আওয়ামী লীগ নেতা আজিম উদ্দিন (৪৮), আবদুল খালেক (৪২) ও রবিউল ইসলাম সাদ্দাম (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, কুহাড় মৌজার ৯৬৫ নম্বর দাগের একটি সরকারি খাস পুকুর এ বছরের ১২ জুন উপজেলা ভূমি অফিস থেকে কুহাড় উত্তরপাড়া জামে মসজিদের নামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবের আলী ইজারা নেন। এরপর থেকেই স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী, ডাবলু, সালাউদ্দিন, মোজাফ্ফর, মুস্তাকিন ও আইয়ুবসহ কয়েকজন মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। পরে এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে উভয়পক্ষই আদালতে মামলা দায়ের করে। এরপর আদালত প্রথমে স্থীতিবস্থা জারি করলেও পরে মসজিদ কমিটির পক্ষে রায় দেন। এরপর আবারও মসজিদ কমিটির লোকজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবর আলীসহ আহত ব্যক্তিরা ওই পুকুরে জাল ফেলতে গেলে তাদের বাধা দেয় বিএনপি নেতা আলী।

শুক্রবার কুহাড় গ্রামের সালামের পুত্র মাহাবুর রহমান বড়শি দিয়ে ওই পুকুরে মাছ ধরতে গেলে বিএনপি নেতা আলীর লোকজন ওই শিশুটিকে বেদম মারপিট করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র ওই দিন সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আওয়ামী সমর্থক লোকজন ওই শিশুটিকে মারার কারণ জানতে চাইলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। পরে এ নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায় উভয়পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষে আওয়ামী সমর্থক লোকজনের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে বিএনপি সমর্থক লোকজন। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আলম জানান, আবারও সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি।


বিডি প্রতিদিন/৯ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর