১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৩:৫১

আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুলের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

৬ বছরেও পূর্ণতা পায়নি স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী:

আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুলের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। একাত্তরের এইদনে খুলনার রূপসা নদীতে যুদ্ধজাহাজ পলাশে শত্রু পক্ষের বিমান হামলায় শহীদ হন এই জাতীয় বীর। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ বলছেন একজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে জাদুঘর এতটা ছোট পরিসরে হতে পারে না। তারা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা সরঞ্জাম ও বইয়ের সমাহার ঘাটয়ে কমপ্লেক্সটিকে আরও সম্প্রসারিত করার দাবি জানিয়েছেন। 

নানা সংকটে স্মৃতি কমপ্লেক্সটি আজও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি, এই কমপ্লেক্সকে ঘিরে সরকারিভাবে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা কর্মকান্ড পরিচালনার; যাতে করে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি রক্ষায় নিজ জেলা নোয়াখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স। উদ্যোগের অভাবে প্রতিষ্ঠার ৬ বছরেরও পূর্ণতা পায়নি কমপ্লেক্সটি। 

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের জম্ম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার রুহুল আমিন নগরে। তার স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালে সরকারিভাবে স্থাপন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের পরিবারের দান করা ২০ শতক জমির উপর নির্মিত হয় স্মৃতি কমপ্লেক্সটি। এখানে আছে বিভিন্ন সময়ে তার পরিবারকে দেয়া সরকারি-বেসরকারি পদকের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিষয়ের বই, আছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নানা পোস্টার, সাময়িকী আর পত্রপত্রিকা। 

রুহুল আমিন নগরের বাসিন্দারা তাকে নিয়ে গর্ভবোধ করেন। তার নামে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে এসে অনেক কিছু জানার সুযোগ পাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের পরিবারের দাবি এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরও আধুনিকায়নের পাশাপাশি সরকারিভাবে এখানে বীরশ্রেষ্ঠের জম্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীসহ জাতীয় দিবসগুলো পালনের ব্যবস্থা করার।

কমপ্লেক্সেটি তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পরিষদও  প্রতিষ্ঠানটি ঠিকভাবে চলছে না বলে স্বীকার করেছে। নিজেদের অল্প পরিমাণ বাজেট দিয়ে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয় বিধায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগীতার কথা বললেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ।

এদিকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতি কমপ্লেক্সকে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের।

 

বিডি প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর