২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:০৮

‘জমিদার সুলভ আচরণে মনোনয়ন দেয়া হবেনা’

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

‘জমিদার সুলভ আচরণে মনোনয়ন দেয়া হবেনা’

ফাইল ছবি

জনপ্রতিনিধিরা জমিদার সুলভ আচরণ করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা জমিদার হতে পারবে না, তাদের জনগণের ভালোবাসার মানুষ হতে হবে। তা না হলে ক্ষমতা চলে গেলে মানুষ তার জবাব দিবে। নেতাদের খাই-খাই স্বভাব ত্যাগ করতে হবে।’ 

শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, গৌরীপুরের এমপি অ্যাড. নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ফুলবাড়িয়ার এমপি অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন, ভালুকার এমপি ডা. এম আমান উল্লাহ, ফুলপুরের এমপি শরীফ আহমেদ, গফরগাঁওয়ের এমপি ফহিুম গোলন্দাজ বাবেল, নান্দাইলের এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, হালুয়াঘাটের এমপি জুয়েল আরেং, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য মারুফা আকতার পপি, রেমন্ড আরেং, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ প্রমুখ।   

সড়ক পরিবন ও সেতুমন্ত্রী শাকিলকে স্মরণ করে বলেন,  'তার সুযোগ ছিল একজন মন্ত্রীর চাইতেও বেশি অর্থ সম্পদের মালিক হবার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর শুধু কাছেরই ছিলেন না, ছিলেন স্নেহধন্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং এর বক্তব্যও তৈরি করতো শাকিল। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী সব চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি শাকিলের বাবা মার চেয়ে কম কষ্ট পাননি। শাকিলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনার মধ্যে বোবা কান্না ছিল।'

তিনি আরও বলেন, ‘স্মরণ সভা এতো বড় জনসভায় পরিণত হয় এটা আমি জীবনে প্রথম দেখেছি। ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক মাহবুবুল হক শাকিল। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এটিই শুধু তার পরিচয়। অথচ তাকে ঘিরে এতো মানুষের ভালোবাসা। এক রাজনীতিকের জীবনে এত মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই’ বলেও যোগ করেন তিনি।'

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বাংলাদেশ মনে হয় এখন নেতা উৎপাদনের কারখানা। কর্মী উৎপাদনের কারখানা দরকার, নেতা উৎপাদনের নয়। ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলটাকে শৃঙ্খলায় আনেন। নেতা হয়েছেন নেতাদের কথা কর্মীদের শুনতে হবে। নেতা নেতা ভাব দেখালেই নেতা হওয়া যায়না। কলহ কোন্দল চলবে না। 

বিএনপিকে নিয়ে তিনি বলেন, 'বিএনপিকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বিএনপির আর মরা গাঙ্গের জোয়ার আসবে না। বিএনপি বলে আন্দোলন কবে হবে এই বছর না ওই বছর। বিএনপি অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে। এক নেতা আরেক নেতাকে বিশ্বাস করেনা। এক নেতা আরেক নেতাকে বলে সরকারের দালাল।'

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলীয় সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বসন্তের কোকিল বসন্ত চলে গেলে আর নেই এমন হলে চলবে না। মৌসুমী পাখিরা সংশোধন হউন। না হয় দলে থাকতে পারবেননা। গুটি কয়েকের অপকর্মের দায় এই জনপ্রিয় সরকার নিবেনা। এর আগে মন্ত্রী বাঘমারাস্থ শাকিলের বাসায় গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান। 

 


বিডি প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর