২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৪:১২

জনবল সংকটে রায়পুরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

জনবল সংকটে রায়পুরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অবস্থিত উপজেলার মৎসপ্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি জনবল সংকটে জর্জরিত। এমনকি ভেস্তে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সরকারের উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ প্রকল্পের ২ হাজার ৪শ ২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর জমির বেরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস প্রজনন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯২ সালে। ২১.৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র বলা হয়।

মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখানে ৮১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ২৮ জন। বাকি ৫৩টি পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো হলো, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ০৬টি, মৎস সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ০৪টি, ক্ষেত্রযোগ গবেষণাগার ০৬টি, দক্ষ ফিশারম্যান ০৬টি, ও অফিস সহায়ক, হ্যাচারী গার্ড, নৈশপ্রহরী ০৪টি করে, প্রশাসনির কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ০১টি করে। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, "লোকবল সংকটের কারনে উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। শূণ্য পদে লোক নিয়োগের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করা যায় দু এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।"

    

বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর