২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৪:৫৮

বরিশালে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্য সংকটের আশংকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্য সংকটের আশংকা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের প্রথম দিনেই বরিশালে পণ্য সংকটের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানসহ সকল পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশালে খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যের মজুদ কমে যাচ্ছে। 

ধর্মঘট চলতে থাকলে বরিশালে বড় ধরনের খাদ্য ও ভোগ্য পণ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করেছেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু। তিনি পণ্যবাহী পরিবহণের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সরকারকে সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার সকালে নগরীর বান্দ রোডের আঞ্চলিক কর ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে তারা সড়ক-মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহণ (ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান) চলাচলে বাধা দেন। 

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ফেরিঘাটগুলোতে সরকার নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। অতিরিক্ত টাকা টাকা না দিলে ফেরিঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। কখনো কখনো শ্রমিকদের নির্যাতন করা হয়। আবার অতিরিক্ত টাকা দিলে বিশেষ ফেরির মাধ্যমে পারাপার করা হয়। আবার সরকার সিটি ও পৌর টোল নিষিদ্ধ করলেও এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন পরিচয়ে সিটি ও পৌর টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা নামে পুলিশ এবং নানা শ্রমিক সংগঠন চাঁদা আদায় করছে। এতে তারা অতিষ্ঠ। এছাড়াও শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পণ্যবাহী যানের সামনে বাম্পার এবং পণ্য বাধার জন্য পাশে হুক লাগাতে হয়। কিন্তু বিআরটিএ এসব বাম্পার ও হুক খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এতে শ্রমিকদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

বরিশাল বিভাগীয় পণ্য পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ঈমান আলী শরীফ বাবুল বলেন, এগুলোসহ ১২ দফা দাবীতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবির প্রতি কোন কর্ণপাত করেনি। এ কারণে তারা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে না নেয়া হবে, ততক্ষণ তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। 


বিডি প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর